কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গুলি করে যুবক হত্যার ঘটনায় প্রতিপক্ষের মহিষের বাথান বাড়ি থেকে ৪৬টি মহিষ লুট করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন মহিষগুলো লুট করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লুট হওয়া মহিষ বাথানের মালিক সাইদ মন্ডল ও তার স্ত্রীর অভিযোগ, মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর মন্ডলপাড়া পদ্মার চরে সাইদ মন্ডলের মহিষের বাথান বাড়ি থেকে রাখালদের মারপিট ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪৬টি মহিষ লুট করে নিয়ে যায় সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ও তার লোকজন। এ সময় তারা মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকতকে (৩৫) বেধড়ক মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখে।
বাথানের মহিষসহ মহিষের রাখালদের অপহরণ করা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১দিকে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিষের রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া ৪৬টি মহিষ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মহিষগুলো লুট করার পর পরই তারা ট্রাক ভর্তি করে অন্যত্র পাচার ও বিক্রয় করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর মন্ডলপাড়া ঘাটের নিচে পদ্মার চরে রাজু (১৮) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত রাজু একই ইউনিয়নের বৈরাগীরচর ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম প্রামানিকের ছেলে। এ ঘটনার পর চরে সাইদ মন্ডলের বাথান বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৪৬টি মহিষ লুট করা হয়।
লুট হওয়া ৪৬টি মহিষের মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা উল্লেখ করে কুষ্টিয়া সেনা ক্যাম্প, পুলিশ সুপার ও র্যাবের কাছে অভিযোগ দিয়েছে মহিষের বাথান মালিক সাইদ মন্ডলের স্ত্রী তমা খাতুন। অভিযোগে মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানকে (৬০) প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তবে মহিষ লুটের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্তসহ মরদেহ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। এলাকার খারাপ লোক এমন কাজ করেছে কিনা আমার জানা নেই।’
মহিষ লুটের অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, এমন খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গিয়েছিল। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন