জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী ও আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাফি বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এহাজার সূত্রে জানা গেছে, আমি নিয়মিত সমসাময়িক বিষয় নিয়া বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। সর্বশেষ ধানমন্ডি ৩২ এর স্বৈরশাসকের গুমের আস্তানা ধ্বংসে জনগণের সঙ্গ অংশগ্রহণ করেছি। যার কারণে স্বৈরশাসকের সহায়তাকারীদের অনেক আগে থেকেই টার্গেটে ছিলাম। এর আগেও আমার বাড়িতেও অনেকবার হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আমার পরিবারের সদস্যরা বাচ্চাদেরকে নিয়া রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার বাবা আগুন দেখে চিৎকার দিলে পরিবারের সদস্যরা দরজা খোলার চেষ্টা করে। দরজাগুলো বাহিরে থেকে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। পরে ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে সবাই বের হয়। ঘটনা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে আমার ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নুরুজ্জামান কাফি বলেন, আমরা যারা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করলাম তারাই আজ কষ্ট পাচ্ছি। আমি না হয় আন্দোলন করে অপরাধ করলাম কিন্তু আমার পরিবার কি অন্যায় করেছিল যে তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। ছেলে হিসেবে আজ কষ্ট ও লজ্জা হয়। আমার বাবার চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবস এ মাসের ২৮ তারিখ। শেষ বয়সে ছেলের জন্য কষ্ট পাচ্ছে বাবা। আমি এর বিচার চাই।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আমরা মামলা গ্রহণ করেছি। তা আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাহিরে থেকে দরজা আটকে দুর্বৃত্তরা কাফির বাড়ি পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন কাফির বাবা এ বি এম হাবিবুর রহমান। তবে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ওই ঘরে থাকা পরিবারের ছয় সদস্য দরজা ভেঙে বের হতে পেরেছেন। আগুনে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
মন্তব্য করুন