মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হেলাল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আসামি হেলাল আহমদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুজানগর ইউনিয়নের বাড্ডা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবদল নেতা নোমান হোসেন আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান রায়হান আহমদ রেহান নামে একজনের কাছে। সেই টাকা চাওয়ার জেরে গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান গং উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নোমানকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে একই ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি হেলাল আহমদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবল চন্দ্র সরকার বলেন, যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার গ্রেপ্তার আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকালে নোমান হত্যাকাণ্ডে হেলাল আহমদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তদন্তেও প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া চারজনের নাম উল্লেখ এবং ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। গত ২২ জানুয়ারি মামলার আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহানকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন