মাঘের শেষ দিনে শীতের জেলা নামে খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল হওয়ার কারণে কয়েকদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো জেলা। যদিও কুয়াশা ভেদ করেছে সকালের পরপরই সূর্য উঁকি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় হিমেল হাওয়ার কারণে তাপমাত্রার পারদ কমেছে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পঞ্চগড়ের চারপাশ। এ সময়ে হালকা হিমেল হাওয়া ও শীত অনুভূত হয়। তবে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মেলে সূর্যের। দিনের বেলা ধীরে ধীরে সূর্য উত্তপ্ত হওয়ায় গরম আবহাওয়া অনুভূত হয়। সূর্য অস্তের সঙ্গে সঙ্গে ফের সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় শীতের প্রভাব।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, শীতের দাপটে জেলায় এখনো বৃদ্ধি না পেলেও দিনদিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরীব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন।
ওদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও উপজেলা চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সুস্থ থাকার জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারনে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন