বগুড়ায় দশম শ্রেণির ছাত্র ফাহিম হোসেন হত্যা মামলায় রাব্বী মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে আসামি রাব্বী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার রাব্বী মিয়া (১৯) বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হরিখালি ইউনিয়নের সাতগ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। রাব্বী পেশায় নির্মাণশ্রমিক। মা-বাবার সঙ্গে শহরের চকফরিদ কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাব্বী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফাহিম তার সহপাঠী তরিকুলের কাছ থেকে ৫০০ টাকা কেড়ে নেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সহপাঠী ফাহিমের ওপর বদলা নিতে তরিকুল আমাদের ভাড়া করে। তরিকুলের হয়ে সীমান্ত, আমিসহ কয়েকজন ফাহিমকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাই।
এর আগে, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া শহরের কলোনি এলাকার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ফাহিমকে হত্যা করা হয়। ফাহিম শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং চকফরিদ কলোনি এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় ফাহিমের বাবা ফরহাদ হোসেন মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এতে রাব্বীর নামও উল্লেখ করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- লতিফপুর কলোনি এলাকার মো. সীমান্ত (২১), লতিফপুর কলোনি এলাকার তরিকুল ইসলাম (১৯), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাগ্রামের জাকির হোসেন (২০) এবং শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া গ্রামের শ্রাবণ (১৯)। এতে চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শহরের বনানী ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী বলেন, অভিযান চালিয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি মো. রাব্বীকে চকফরিদ কলোনি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাব্বী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করতে রাজি হওয়ায় তাকে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ফাহিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি মো. রাব্বী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করার পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন