মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটেছে। এতে ওই বাসে ঘুমিয়ে থাকা বাসচালকের সহকারী সাহাবির মিয়া (১৪) অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বালিগাঁও ব্রিজের ওপরে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় গাংচিল পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহাবির মিয়া লৌহজং উপজেলার পালেরগাঁও এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে। আগুনে পুড়ে যাওয়া গাঙচিল পরিবহনের বাসটি বালিগাঁও-লৌহজং হয়ে রাজধানী ঢাকায় চলাচল করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনের কাজ শেষে মঙ্গলবার রাতে বাসের ভেতর ঘুমিয়ে ছিল সাহাবীর। ঘুমানোর আগে পাশেই নিজের মোবাইল ফোনটি চার্জে দেয়। এ ছাড়া পাশেই একটি মশার কয়েল জ্বালানো ছিল। রাত আড়াইটায় বাসটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর সাড়ে চারটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুড়ে যাওয়া বাসের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে নিহত ঘুমিয়ে থাকা বাসের হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছে সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিহতের মা মুন্নী বেগম বলেন, আমার স্বামী মাদক সেবন করে। আমার ও আমার সন্তানদের কোনো খোঁজখবর নেয় না। দুই বছর ধরে আমার ছেলে গাড়ির কাজ করে। এক বছর ধরে এখানে গাড়িতে কাজ করছে। রাতে ও গাড়িতেই ঘুমাত। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত।
নিহতের নানা মুজিবুর পাঠান বলেন, তিন দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয় সাহাবির। সারাদিন গাড়িতে হেলপারি করে রাতে গাড়িতেই ঘুমাত। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। আমার নাতিটা আয় করে সংসার চালাত। ওর ছোট একটা বোন আছে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন