বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ফাহিম মিয়া নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফাহিমকে বুকসহ শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফাহিম শহরের চক ফরিদ কলোনি এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে। সে পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন ফয়জুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
নিহত ফাহিমের বড় ভাই কাইয়ুম হোসেন বলেন, ‘তুই’ বলাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে ফাহিম কোচিং সেন্টারে যায়। কোচিং শেষে বাড়িতে ফেরার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ৮-১০ জন তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ফাহিমের বুকসহ শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। এরপর লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাইয়ুম বলেন, চার মাস আগে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে ফাহিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। ওইদিন ফাহিম এক সিনিয়রের শরীরে থুথু দিয়েছিল। পরে এ নিয়ে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখন বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। তারা ফাহিমকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। সোমবার তাকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন