বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত করা সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি পুনর্বহালের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সে সঙ্গে বৈষম্যবিরোধীদের বিতর্কিত বলায় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা রুবেলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরের নিউ ঢাকা রোডের রেলগেট এলাকায় চাররাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় রাস্তা ব্লকড করে সেখানে ফুটবল খেলতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। তারা আগের কমিটি বহাল রাখা ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে জেলার ৯টি উপজেলাতেও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) অনুমোদিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি পুনর্বহাল করতে হবে। সিরাজগঞ্জে কোনো চাঁদাবাজকে ঠাঁই দেওয়া যাবে না। সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা রুবেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিতর্কিত বলেছে, তার বিচার করতে হবে। তিনি হলুদ সাংবাদিকতা করেছেন। একপাক্ষিক বক্তব্য নিয়েছে, আমাদের কোনো কথা না শুনেই নিউজ করে চাঁদাবাজদের হয়ে কথা বলেছেন।
স্থগিত কমিটির সিনিয়র মুখ্য সংগঠক যুবায়ের-আল ইসলাম সেজান বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি একটি চাঁদাবাজ, দখলদারমুক্ত একটি কমিটি দিয়েছিল। কিন্তু কিছু চাঁদাবাজ নামধারী লোক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে যমুনা সেতু ব্লকেড দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। যে কমিটি দিয়েছিল তা বহাল রাখার জন্য আমাদের এ আন্দোলন।
বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলার স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সজিব সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আসির ইন্তেসার অয়ন, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক যুবায়ের-আল ইসলাম সেজান, মুখপাত্র টিএম মুশফিক সাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই মোফাখ্খারুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। সন্ধ্যা ৬টায় তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে চলে গেছে। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। প্রসঙ্গত শনিবার রাতে ২৮৪ সদস্যবিশিষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়।
এরপরই পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তারা যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কমিটি স্থগিত করা হয়। এরপর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থগিত কমিটির শিক্ষার্থীরা। তারা কমিটি পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বাজার স্টেশন এলাকায় সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ফের রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন