বগুড়ার শেরপুরে ফুচকা খেতে নিয়ে না যাওয়ায় সুবর্ণা আক্তার (১৮) নামের এক নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরশহরের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুবর্ণা আক্তার নয়াপাড়া এলাকার তারিকুল ইসলামের স্ত্রী ও আরডিএ বগুড়াপাড়া এলাকার শরিফ উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের ননদ তুবা খাতুন ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় আমি আর ভাবি (সুবর্ণা আক্তার) একঘরে টিভি দেখছিলাম। ভাবি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু তিনি আর ঘরে না আসায় আমি তাকে ডাক দিলে কোনো সাড়া পাইনি। তখন ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময় দেখি দরজা বাহির থেকে লাগানো। তখন আমার চিৎকারে লোকজন বাড়িতে এসে দেখে ভাবি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বারান্দায় ঝুলছে। তখন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
স্বামী তারিকুল জানান, ২ মাস আগে সুবর্ণার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। মাঝে মধ্যেই দুজন এক সঙ্গে ফুচকা খেতে বাইরে যেতাম। সোমবার সন্ধ্যায় সুবর্ণাকে নিয়ে ফুচকা খেতে যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী সুবর্ণা সেজে বসে ছিল। বাড়িতে বাবা-মা না থাকায় আমি তাকে যেতে নিষেধ করে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চা দোকানে চলে যাই। এরপর আমাকে ছোটবোন তুবা খাতুন মোবাইলে জানায়, ভাবি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ময়নুল ইসলাম জানান, মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন ও রাগী ছিল। স্বামী ফুচকা খেতে নিয়ে না যাওয়ায় অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন