বিস্ফোরক ও ভাঙচুরের মামলায় সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম ও তার স্ত্রী জোসনা খানমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শাহজাদপুর চৌকি আদালতে স্ত্রীসহ চয়ন ইসলামকে হাজির করলে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড. এম মুহিতের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগে চয়ন ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। এ দুটি মামলায় চয়ন ইসলাম ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার চয়ন ইসলাম শাহজাদপুরের চরনবীপুর গ্রামের শিক্ষাবিদ প্রয়াত ড. মাজাহারুল ইসলামের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রার্থী ড. এমএ মুহিতের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৬ বছর পরে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাদশা মিয়া নামে এক বিএনপি কর্মী বাদী হয়ে চয়ন ইসলাম ও তার বোন সাবেক এমপি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতাসহ ৮০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মী আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে চয়ন ইসলাম ও মেরিনা জাহান কবিতাসহ ৭১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন।
এছাড়াও ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর হাবিবুল্লানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে চয়ন ইসলাম ও তার বোন মেরিনা জাহান কবিতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।
এর আগে, গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপরিবাড়ি গ্রামের একটি ৬ তলা ভবনে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় চয়ন ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা খানমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন