সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলার পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের ১৩ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের ক্লোজড করা হয়।
সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কালবেলাকে বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআইসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ পুলিশ সদস্য হলেন- এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলন শুরু করে স্থানীয়রা। টিলার পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে উঠে কোম্পানীগঞ্জ থানার কিছু পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। চাঁদা গ্রহণের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর তাদেরকে ক্লোজড করে সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাই আমরা। এর প্রেক্ষিতে এসআইসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের আপাতত অন্যকোনো কর্মস্থলে দেওয়া হয়নি। তদন্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রাচীন নিদর্শন শাহ আরেফিন টিলা। ১শ ৩৭ দশমিক ৫০ একরের এ টিলাটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। টিলা, খেলার মাঠ, বড় বড় গাছ সব কিছুই উজাড় করছে পাথরখেকো চক্র। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে নতুন করে এ টিলা কেটে পাথর উত্তোলন শুরু করে স্থানীয়রা। এই পাথর পরিবহন করতে পথে পথে চাঁদা নেয় পুলিশ।
অভিযোগ আছে, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের মদদে সরাসরি পুলিশ দিনেরাতে পাথর বহনকারী ট্রাক, ট্রাক্টর থেকে নির্দিষ্ট হারে তুলে।
মন্তব্য করুন