তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ শীর্ষক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন নামে একটি সংগঠন ওই পদযাত্রার আয়োজন করে।
জেলা শহরের রেলওয়ে স্টেশন রোড থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিশন মোড়ে গিয়ে তারা পথসভার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করে।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে ওই পদযাত্রা শুরু হয়। শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় তিস্তা নদী খনন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ঐতিহ্যবাহী তিস্তা নদী ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের একসময় ছিল গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, মুখে ছিল ভাওয়াইয়া গান। তিস্তাপাড়ের মানুষ আনন্দে দিন কাটাত। তিস্তা নদী ছিল তাদের মায়ের মতো। সেই তিস্তা এখন শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। তিস্তা নদী এখন ধু-ধু বালুচর। এর প্রধান কারণ, পার্শ্ববর্তী দেশ শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণ করে পানি আটকে রাখে, আর বর্ষা মৌসুমে বিনা কারণে পানি ছেড়ে দেয়। এর ফলে বন্যার কবলে পড়ে লাখ লাখ পরিবারের বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে যায়, হাজার হাজার মানুষ ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি-ঘর ছাড়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তিস্তার সুসম পানি বণ্টন ও মহাপরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘদিন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। কিন্তু বিগত সরকার তিস্তাপাড়ের মানুষের সঙ্গে শুধু প্রতারণা করেছে।
তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দুলু বলেন, তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে দুই দিন (১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি) দুই রাত লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করেছি। এ আন্দোলনে নিজ নিজ উদ্যোগে যুক্ত থাকবেন তিস্তা তীরবর্তী ৫ জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের মানুষ। ১৩০ কিলোমিটার নদীর তীরবর্তী ১১টি পয়েন্টে লাগাতার এই কর্মসূচি চলবে।
মন্তব্য করুন