ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামী হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম (৩৬)। মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি মো. আরমান মামলার সাক্ষ্য চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৮ জুন মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকী এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিনকে গলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হাফিজা খাতুন তার প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাওয়ালে হেলাল উদ্দিন ঘুমিয়ে পড়েন। তারপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হেলাল উদ্দিনকে। পরে এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজায় তার স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমান নামে তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়।
ময়মনসিংহ আদালতের পরিদর্শক পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান কালবেলাকে বলেন, পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন