সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্কুলের অ্যাসেম্বলি চলাকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকতে না দেওয়ায় ৫ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে আজিম আকন্দ (১৪) নামে এক কিশোর। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দশম শ্রেণির ছাত্র শুভকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আজিম আকন্দকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে গেলেও রাতে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। আজিম আকন্দ সিরাজগঞ্জ বিএল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার সমেশপুর গ্রামের সোনাউল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজিমের বোন সুমাইয়া রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। রোববার সকালে মোটরসাইকেলে করে বোনকে নিয়ে স্কুলে যায় আজিম। এ সময় স্কুলে অ্যাসেম্বলি চলছিল। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে অ্যাসেম্বলি চলাকালে প্রধান ফটকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকতে বাধা দেন দারোয়ান আব্দুল আওয়াল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে স্কুল থেকে চলে যায় আজিম। পরে বাড়ি থেকে ফিরে গিয়ে আবারও স্কুলে ঢুকে দারোয়ানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সে। এতে কয়েকজন ছাত্র প্রতিবাদ করলে আজিম ধারালো ছুরি দিয়ে ৫ শিক্ষার্থীকে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আজিমকে আটক ও আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আহতদের মধ্যে শুভর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আজিম আকন্দকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলেও রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দারোয়ান আব্দুল আউয়াল জানান, বয়সে ছোট হলেও আজিমের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিন জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই দারোয়ান মোটরসাইকেল নিয়ে আজিমকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়নি। স্কুলে ঢুকতে না পারায় সে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে।
বেলকুচি থানার ওসি জাকেরিয়া হোসেন জানান, ওই ঘটনায় নবম শ্রেণির ছাত্র আজিমকে থানায় নেওয়া হলেও শিশু-কিশোর হওয়ায় তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন