সুনামগঞ্জে ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়িতে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমার জানা নেই। বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। আমি অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
গত শুক্রবার রাতে একদল লোক মিছিল নিয়ে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চালবন্দ পয়েন্টে স্থাপিত ‘কৃষান চত্বর’ নামের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলে। শনিবার ভাঙচুর করা ভাস্কর্যের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
বিশ্বম্ভরপুরের পর্যটন বিকাশ, সৌন্দর্য বর্ধন ও ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু ভাস্কর্য ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদি উর রহিম জাদিদের উদ্যোগে এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে হাওর-প্রধান এ উপজেলার কৃষি ও কৃষকের ঐতিহ্য তুলে ধরতে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের পাশে উপজেলার চালবন্দ পয়েন্টে কৃষকের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছিল, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার কারেন্টের বাজার মোড়কে ‘বোয়াল চত্বর’ নামকরণ করে নির্মাণ করা হয়েছিল বোয়াল মাছের আদলে একটি ভাস্কর্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে একদল লোক কৃষান চত্বরে থাকা কৃষকের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভাস্কর্য ভাঙার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক হাতুড়ি দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙছে।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, একদল লোক এটি ভেঙে ফেলেছে; কিন্তু ভাঙচুরকারীদের পরিচয় জানতে পারিনি। তাই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
এটি পুনর্নির্মাণ করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাঙচুরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
মন্তব্য করুন