পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তালাক দেওয়ায় শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে জামাতা খোকন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে গিলাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর জখম শাশুড়ি হামিদা আক্তার রিজভীকে (৬০) বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হামিদা আক্তারের মেয়ে মাছুমা বেগম (৩৫) বাদী হয়ে সাবেক স্বামী খোকনকে আসামি করে থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) খোকনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ জেলে পাঠিয়েছে। খোকন উজিরপুর উপজেলার ভাসানচর গ্রামের মৃত মো. ওসমান গণির ছেলে।
আহত হামিদা আক্তারের ভাসুরের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির (সামাউন) জানান, তার চাচাত বোন মাসুমার সঙ্গে খোকনের ২০০৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্যবসার সূত্রে খোকন স্ত্রী মাসুমাকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের পুরান ভাড়াইল্লা (খালমোড়া) বসবাস করত। সেখানে খোকন স্ত্রীর নামে জমি কিনে বাড়ি করে। তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত আগস্ট মাসে মাসুমা স্বামী খোকনকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে। শনিবার খোকন গিলাবাদ গ্রামে আসে। সন্ধ্যার দিকে সে তার শাশুড়ি হামিদা আক্তারের ঘরে গিয়ে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং খোকনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ব্যাপারে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। আসামি খোকনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন