নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় মাদক কারবারিরা এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মাদক কারবারিরা নগরপাড়া বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাদের হামলায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নগরপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্থানীয় শাকিল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, খামারপাড়া এলাকার মাদকসম্রাট সোহেলের নেতৃত্বে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিল ও চোলাই মদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার তাদের বাধা দেয়। শনিবার সন্ধ্যায় নগরপাড়া এলাকার শাকিল মিয়া তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য হুঁশিয়ারি দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে সোহেলের নেতৃত্বে তরিকুল, জোনায়েত, আকবরসহ ২৫-৩০ জনের কিশোর গ্যাং দা, ছুরি, চাপাতি নিয়ে নগরপাড়া বাজারে মহড়া দেয়।
এ সময় শাকিল মিয়াকে তারা বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে তার ভগ্নিপতি কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারমান অ্যাডভোকেট গোলজার হোসেন এগিয়ে এলে মাদক কারবারিরা তাকে হত্যার উদ্দেশে কোপ দেয়। পরে হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। এ সময় আরও লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালায়। হামলায় বখতিয়ার উদ্দিন আহম্মেদ, ফরিদ আহম্মেদ, মাহাম্মদ আলী মেম্বার, নাসির ভূঁইয়া, আলী আহম্মদ ভূঁইয়াসহ ২০ জন আহত হন। পরে নগরপাড়া বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা চালায় তারা।
অ্যাডভোকেট গোলজার হোসেন বলেন, সোহেল একজন মাদক সম্রাট। তার রয়েছে ৪০ জনের কিশোর গ্যাং বাহিনী। তারা মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর থেকে শুরু করে ছিনতাই, ডাকাতি করে বেড়ায়। এ বাহিনীর অত্যাচারে কয়েক গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল খান বলেন, মাদক ব্যবসা দূরের কথা আমি কখনো একটা সিগারেটও খাইনি। আমি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মাদকের কথা বলা হচ্ছে। আমি বা আমার লোকজন কোনো হামলা করিনি। বরং তারাই আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার পরিবারের কয়েকজন আহত। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন