হত্যা মামলার আসামি হয়েও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে প্রবেশ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ। পরে এসপির কক্ষে বসেই সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার শুরু হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আসামি আহসান উল্লাহকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যা মামলার আসামি আহসান উল্লাহ নাঙ্গলকোট হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তিনি নাঙ্গলকোট পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন সেলিম ভূঁইয়া। তিনি হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহাম্মদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ কিছু নেতাকর্মী। তাদের সঙ্গে ছিলেন হত্যা মামলার আসামি আহসান উল্লাহ। সেখানে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, আহসান উল্লাহ আমাদের দলের লোক সেলিম হত্যা মামলার আসামি তা জানা ছিল না। জানা থাকলে তাকে পুলিশ অফিসে নেওয়া হতো না। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকব।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন