উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতে স্থবির পঞ্চগড়ের জনজীবন। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই। প্রতিনিয়তই হচ্ছে তাপমাত্রার ছন্দপতন। তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ ছিল, যা গতকাল (শনিবার) এ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। ভোরে কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল সকাল সূর্যের দেখা মিলছে না। মধ্য বেলায় কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের।
এদিকে জেলাসহ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে শীতে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তরপশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। আজ (রোববার) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ ছিল, যা গতকাল ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন