যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-কে স্বাগত জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এ অপারেশনের মাধ্যমে দেশে অবস্থানরত আওয়ামী দুর্বৃত্তধারীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। তবে নিরীহ কোনো মানুষের সঙ্গে অন্যায় করা যাবে না। কারও বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া ও বিল্ডিং ভেঙে দেওয়াকে গণঅধিকার পরিষদ সমর্থন করে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, গত ১৬ বছরে ভিন্নমত ও বিরোধীদলের রাজনীতিকে নির্মূল করার জন্য গুম, খুন, হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরেও তাদের কোনো অনুশোচনা নাই। যার ফলে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের রাজনীতির তীর্থভূমি ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। পতিত স্বৈরাচার ভারতের প্রেসক্রিপশনে এখনো এ দেশে অরাজকতা তৈরি করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। অথচ মূল নেতারা এ দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে অবস্থানরত সাধারণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যারা নির্যাতন করেননি তারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান। সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি যেন আওয়ামী লীগ নামে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়। তা না হলে এ দেশে আবারও ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে।
ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশ্য করে ভিপি নুর বলেন, গুটি কয়েক ছাত্র নেতারা আন্দোলনকে ব্যবহার করে দল করতে চাচ্ছে। বাকিদের অবদানকে অস্বীকার করে এ মানসিকতা যারা পোষণ করছেন তারা বিভাজন তৈরি করছেন। এ বিভাজন আমরা চাই না।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, এখন সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে আপনাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠানোর। কালো টাকা, পেশিশক্তি দেখিয়ে সেই রাজনীতি এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের উৎপাতে এখন মানুষ আবারও অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষণ কিন্তু ভালো না। যারা এমন করছেন আওয়ামী লীগের দিকে তাকান।
তিনি বলেন, আবারও যদি পুরোনো রাজনীতির পথে হাঁটি এ দেশের মানুষ আবারো রুখে দাঁড়াবে। পুরাতন রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এদেশে কেউ ভারতের গোলামী করে, কেউ পাকিস্তানের গোলামি করে, কেউ আমেরিকা ও চীনপন্থি হয়ে বাংলাদেশকে ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি করতে হলে বাংলাদেশপন্থি হতে হবে।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মুন্না, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সদস্য সচিব আকন্দ মোহাম্মদ উজ্জ্বল, যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, পাকুন্দিয়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম শহীদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন