নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘুমধুম স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত সড়ক ও ঘুমধুম স্থলবন্দরের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করেন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি : কালবেলা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত সড়ক ও ঘুমধুম স্থলবন্দরের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করেন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি : কালবেলা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত সড়ক দেখেছি, ঘুমধুম স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গা দেখেছি। সেখানে একটা স্থলবন্দর করা যায় কি না এটি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ঘুমধুম সীমান্ত সড়ক ও স্থলবন্দরের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, আগামীতে মিয়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল, এখনো আছে এবং থাকবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য একটা পরিকল্পনা করে রাখব, যাতে ওখানে একটা স্থলবন্দর করা যায়।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে নৌপথের চেয়ে স্থলপথ সুবিধাজনক। সেহেতু ঘুমধুমের এশিয়ান ট্রান্স রোডটি দুদেশের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সহজ। টেকনাফে আমাদের একটা বন্দর আছে মিয়ানমারের সঙ্গে, সে জায়গাটি দেখব। আপনারা জানেন মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কেন হয়েছিল।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের ঘটনায় বাণিজ্য পণ্য আমদানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল, সেগুলো পরিস্থিতি সাপেক্ষে স্বাভাবিকতায় ফিরে আসবে। একই সঙ্গে ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গায় স্থলবন্দর নির্মাণ বাস্তবায়নে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। যেটা আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের সহজ ল্যান্ড কানেকশন। যেহেতু সেখানে রোহিঙ্গারা ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যান করে রাখব, যাতে ওখানে একটা পোর্ট করা যায়।

টেকনাফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকনাফ বন্দরটা আমরা স্থলবন্দর বলি, আসলে এটা স্থলবন্দর না। এটা হয়তো নৌবন্দরে পরিণত হবে অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে দেখা যাবে, এটা চিপিএর (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে।

এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা সঙ্গে ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জে সড়ক অবরোধ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে যানবাহন চালু

বিজিবির বাধায় মাটি কাটা বন্ধ করল বিএসএফ

অনলাইন ক্যাসিনো আসক্তি থেকে যুবকের আত্মহত্যা

আ.লীগের মিছিল নিয়ে রাশেদ খানের স্ট্যাটাস

কাভার্ডভ্যান চুরি করে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি, গ্রেপ্তার ৩

নসরুল হামিদের ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট জব্দ, ৭০ অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ

বাবর-রিজওয়ানদের জন্য আবারও নতুন কোচের সন্ধানে পিসিবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি ইরান!

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

ধর্ষণের পর বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা

১০

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তেলাপোকা-কৃমি-কেঁচোতে আক্রান্ত : ব্যারিস্টার ফুয়াদ 

১১

নারী বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান

১২

‘হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে’

১৩

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

১৪

আনন্দ-উল্লাসে আবুধাবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

১৫

জ্বালানি খাতে ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছে সরকার

১৬

নারী পোশাক শ্রমিককে গলাকেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

১৭

খুলনায় আ.লী‌গের ঝটিকা মিছিল, নেতাকর্মীদের খুঁজছে পুলিশ

১৮

মানুষের চোখে কখনো দেখা যায়নি এই রং, দাবি বিজ্ঞানীদের

১৯

সিলেটে টেস্ট / প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ভালো শুরু, তবে বৃষ্টির হানা

২০
X