বিএনপির নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপি দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি কোনো চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। জনগণের অধিকার আদায়ে খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে যারা বিতর্কিত করতে চায় তাদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকবে হবে। বিএনপি জনগণের দল। জনগণের জান-মালের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তারা সাবধানে পথ চলবেন। জনগণের জান-মালের ক্ষতি হবে এমন কোনো কর্মকাণ্ড বিএনপি সহ্য করবে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের শহীদ জগলু রোডে জগলুর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে তিনি জেলা বিএনপি, যুবদল, মহিলা দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি র্যালি নিয়ে শহরের জগলু রোডে ছাত্রদল নেতা শহীদ মির্জা আবু রায়হান জগলুর স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বাংলাদেশ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিগত স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী সরকার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের পায়ের নিচে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পিষ্ট করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে মূল ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে তারা এ দেশে কোনোভাবেই আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। যারা নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে তাদের বিচার এই দেশের মাটিতে অবশ্যই হতে হবে।
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশের পথ সুগম হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে। গণমানুষের সেই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এখনো চলছে।
সালাউদ্দিন টুকু বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। যে বাংলাদেশে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে। সবাই ভাই-ভাই হিসেবে আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সব বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক একটি দেশ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের নির্বাহী সদস্য সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এ দিনে স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত জনতার ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মির্জা আবু রায়হান জগলু নিহত হন।
মন্তব্য করুন