হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৮ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৩-১৪ কিলোমিটার ছিল।
এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় রাস্তাঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৮ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার ছিলো। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না।
মন্তব্য করুন