নরসিংদীতে আদালত প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সেই সময় আদালতের এজলাস থেকে গারদে নেওয়ার সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০ কর্মীদের ওপর হামলা চালান তারা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নাহিদ নিয়াজী এ আদেশ প্রদান করেন।
আদালতে হামলার শিকার ছাত্রলীগের কর্মীরা হলেন- শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫), পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক আকন্দ (২৮), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান (২৫), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রাজু মিয়া (৩১), শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফরহাদ আফ্রাদ (১৮), মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ মোল্লা (২৪), মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনির (২৮) ও পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (২৬)।
এদিন সকালে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতাদের কোর্ট হাজতে এনে রাখা হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভে আদালত পাড়ায় উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা আদালত চত্বরে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুলিশি পাহাড়ায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আদালতে তোলা হয়।
নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবীকে আদালতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, আদালতের এজলাস থেকে পুলিশ পাহারায় হেলমেট ও ভেস্ট পরিয়ে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে কোর্ট হাজতে নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী স্লোগান দিতে দিতে আদালত ভবনে প্রবেশ করেন। তারা গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দেখতে পেয়ে ছুটে যান। পুলিশের বাধার মধ্যেই ছাত্রলীগ নেতাদের উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকেন উপস্থিত আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশ দৌড়িয়ে তাদের কোনো মতে কোর্ট হাজতে নিয়ে যায়।
নরসিংদী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাদের আদালতের এজলাসে তোলার আগে থেকেই ছাত্র-জনতা কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এজলাস থেকে বের হওয়ার পর তারা আসামিদের ওপর হামলার চেষ্টা চালান। তবে পুলিশের ভূমিকার কারণে পারেননি। আমরা তাদের পুলিশি প্রহরায় কোর্ট হাজতে প্রেরণ করতে সক্ষম হই।
মন্তব্য করুন