নাটোরের সিংড়ায় পারিবারিক কলহে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার পর তিন মেয়েকেও খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শারমিন খাতুন (২৮) নামে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন মেয়ে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের দুর্গম বড়গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শারমিন উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বড়গ্রাম দিঘিপাড়ার মুরাদ প্রামানিকের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূ শারমিন গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে তার তিন মেয়েকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনা টের পেয়ে তার স্বামী ও প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে শারমিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্মরত চিকিৎসক। এদিকে তার জমজ ২ মেয়ে মিম ও জিম (৮) এবং সিনহা (৩) অসুস্থ হয়ে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
প্রতিবেশী তমছের আলী বলেন, আমি বাড়িতে নামাজ শেষে ইবাদতে ছিলাম। তখন বাহিরে চিৎকার শুনে বাহিরে আসলে মিম ও জিম বলে আমাদের বাঁচান। আমার মা কৃমির ওষুধের কথা বলে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়েছে।
আরেক প্রতিবেশী রোকেয়া বলেন, শারমিন ও আমরা মিলেমিশে বেশ সুন্দরভাবে একই বাড়িতে বাস করি। গতরাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে আমরা বাহিরে এসে দেখি তারা সবাই ছটফট করছে। পরে জানতে পারি তারা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে জানান, এ বিষয়ে সিংড়া থানা পুলিশ অবগত রয়েছে। কী কারণে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন