ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মদপানে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ মদিপাড়া ও দরগাপাড়া গ্রামে এ ঘটে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে সুমন মিয়া (৩৫), একই ইউনিয়নের দরগাপাড়া গ্রামে কিতাব আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৫৩) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সদর উপজেলা সোহেলপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন (৫০। তাদের মধ্যে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে সজীব মিয়া (৩০)। সে পেশায় অটোচালক।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মাসুদ মিয়া নামে এক হোমিও চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সজীব মিয়া জানান, নিহত জলিলের খালাতো ভাই ঢাকা ইব্রাহিমপুরের হোমিও চিকিৎসক মাসুদ মিয়া ও তার বন্ধু নিজাম (নিহত) বোতলে করে ঢাকা থেকে মদ নিয়ে গফরগাঁওয়ে আসে। বুধবার রাতে জলিল গফরগাঁও পৌর শহরের গরুহাটা থেকে আমার অটোরিকশা ভাড়া করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। জলিলের বাড়িতে বসে আমরা সকলে মাংস দিয়ে মদ পান করি। বৃহস্পতিবার সকালে গুরুতর অসুস্থ পড়লে স্বজনরা খোঁজ পেয়ে তাদের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।
নিহত সুমন মিয়ার স্ত্রী তসলিমা খাতুন জানান, আমার স্বামী বৃহস্পতিবার সকালে বুকের ব্যথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে মদপানে বিষয়টি অস্বীকার করেছে নিহতের পরিবার।
গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাশেদুল হাসান বলেন, মদপানে বিষয় গোপন করে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে নিহতের স্বজনরা।
গফরগাঁও থানার অফিসার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন