নাটোরের সিংড়ায় পরকীয়ায় সংসার ভেঙেছে তানিয়া (২৮) নামে এক নারীর। তানিয়ার স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে হাতেনাতে ধরা খায় শাহিন। পরের দিন উভয়ের সম্মতিতে তালাক হয়।
এদিকে প্রেমিক শাহিনকে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন তানিয়া। ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি শাহিনের ঘর ছাড়তে নারাজ। না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের ইছলবাড়িয়া গ্রামে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রেমিক শাহিনের ঘরে অনশনে অসুস্থ তানিয়ার স্যালাইন চলছে। অপরদিকে তিন দিনেও ছেলের খোঁজ না পাওয়ায় বৃদ্ধা শাহিনের মাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার ঠেংগাপাকুরিয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেনের মেয়ে তানিয়ার সাথে ইছলবাড়িয়া গ্রামের মৃত শামসুল আলম মৃধার ছেলে রাজুর বিয়ে হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তানিয়ার ঘরে ঢুকে প্রেমিক শাহিন। অতঃপর হাতেনাতে ধরা পড়ার পরের দিন শুক্রবার দুপক্ষের স্বজন ও কাজির উপস্থিতিতে স্বামীর সম্মতিতে তালাক দেওয়া হয়। তালাক দেওয়ার পর প্রেমিক শাহিনের বাড়িতে অবস্থান নেন তানিয়া। তারপর বিয়ের দাবিতে অনশন করতে থাকেন। এদিকে প্রেমিক শাহিন বেড়াচ্ছেন পালিয়ে।
তানিয়ার বাবা শাহাদাত হোসেন জানান, মেয়ের তালাক হয়েছে। বর্তমানে সে মুমূর্ষু অবস্থায় শাহিনের বাড়িতে আছে। আমার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়েছে শাহীন। তার জন্য তার সংসার ভেঙে গেছে। আমরা দোষীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত শাহীনকে একাধিকবার মোবাইলে কল দিলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। শাহীনে মা সাজেদা বেগম বলেন, তানিয়ার সাথে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে। তারা দুজন রাজি থাকলে আমরা বিয়ে দিয়ে দিব।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক কালবেলাকে জানান, এ বিষয়ে পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন