সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও আমার একটি জীবন দর্শন আছে। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইবার প্রতিমন্ত্রী ছিলাম ও একবার মন্ত্রী ছিলাম। কিন্তু আমি আমার এলাকার বিএনপি-জামায়াতের কোনো লোকের ক্ষতি করিনি। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান হত্যা মামলার শুনানিতে আদালতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন বিকেলে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মুখ্য মহানগর আদালত-৩ এর বিচারক দেবী রানী চৌধুরী।
আইনজীবীদের জামিন শুনানি শেষে আদালতে কথা বলতে চান সাবেক এ মন্ত্রী। অনুমতি দেওয়া হলে তিনি আদালতকে বলেন, মামলার বাদীকে আমি চিনি না। তার বাড়ি কাউনিয়া নাকি জলঢাকায়, আমার বাড়ি তো কালিগঞ্জে। অথচ এ মামলায় আমাকে ও আমার ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে এ মামলা করা হয়েছে।
জামিন শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রংপুরে ঘটেছে অথচ আসামি করা হয়েছে সাবেক এই মন্ত্রীকে যার বাড়ি লালমনিরহাটে। এ ছাড়া এ মামলায় অনেক আসামির নাম এফিডেভিট করে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহেদ কামাল ইবনে খতিব বলেন, আমরা বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় জামিন আবেদন করেছিলাম কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আদালতের সিদ্ধান্তে আইনজীবী হিসেবে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে তোলা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মন্তব্য করুন