পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমিকের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইতি দাস নামে এক কলেজশিক্ষার্থী। পরে বাসায় এসে আত্মহত্যা করেন তিনি। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে ঘটে এ ঘটনা।
ইতি দাস উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমির দাসের মেয়ে। তিনি বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, রাতের খাবারের জন্য ডাকলে সাড়া না পেয়ে দোতলায় গিয়ে ইতিকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয় তার মা। এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ঘুরতে বের হয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পৌরশহরের পাবলিক মাঠ সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে যায় ইতি। সেখানে দুজনকে হৃদয় রায়হান নামে এক যুবক বিরক্ত করে। একপর্যায়ে হৃদয় রায়হান ইতির বাবাকে জানায়। ইতির বাবা ওই রেস্টুরেন্টে না গিয়ে মোবাইলফোনে ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানালে বাউফল থানার এসআই শাহিন এসে ইতি ও তার প্রেমিককে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বিকেলে বাসায় গিয়ে বসতঘরের দোতলায় উঠলে সেখান থেকে আর বের হয়নি ইতি। রাতের খাবার খেতে ডাকতে গিয়ে দোতলায় তার মা তাকে ঝুলতে দেখেন।
হৃদয় রায়হান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ওই মেয়েকে ও ছেলেকে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়েছি। পরে তাদের পরিবারকে খবর দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তারা না এসে উল্টো পুলিশ পাঠায়। এতে বিষয়টা জানাজানি বেশি হয়। একপর্যায়ে মেয়েটা কান্না করতে করতে বাসায় চলে যায়।
বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য করুন