বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির শাজাহান চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা ইকুইপমেন্টসহ সিসিটি, এনসিটি টার্মিনাল ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়ার আত্মঘাতী ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়া হবে। আশাতীত সাফল্যের পরও ৫০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর রুটি-রুজির এ বন্দরের প্রাণ-স্পন্দন সিসিটি ও এনসিটি টার্মিনাল স্বার্থান্বেষী মহলের লোলুপ দৃষ্টিতে পড়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলে এ বন্দরকে মাফিয়া ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। বন্দরের সব শ্রেণি-পেশার শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়ে সিসিটি ও এনসিটি প্রাইভেটাইজেশন দেওয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর চকবজারে মহানগর কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘ ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর নেতাদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সিসিটি ও এনসিটি নতুন নির্মিত কোনো টার্মিনাল নয়। বর্তমানে এখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের কোনো সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। অত্যাধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট দ্বারা সুসজ্জিত ও সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত সিসিটি ও এনসিটি থেকে গত অর্থবছরে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। এতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এসএম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক মো. হেলাল উদ্দিন, সদস্য সচিব মো. ইয়াছিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম আদনান।
মন্তব্য করুন