চট্টগ্রামে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সুমনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন (৩৫) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে সুমন ও মনি আক্তার ভালোবেসে বিয়ে করেন। সুমনের একাধিক বিয়ের বিষয়টি মনির কাছে গোপন করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই সুমন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। মনি আক্তার হালদা ভ্যালি চা বাগানে কাজ করতেন। নিজের আয় থেকে মনি তার স্বামীকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেয়, সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকাও দেন। এরপরও আরও টাকার জন্য সুমন স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতেন।
২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর স্ত্রী মনি ও মামাতো ভাই মো. টিপুকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান সুমন। সেখানে তিনি শ্বশুর মমতাজের কাছে যৌতুক চান। শ্বশুর অপারগতা প্রকাশ করার পর স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির পথে রওনা দেন সুমন। পথে কালীকুম্ভ এলাকায় তিনি বাইক থামিয়ে মনিকে রাস্তায় পাশে নিয়ে মুখ বেঁধে মারধর শুরু করেন। মারধরে মনি আক্তারের হাত-পা ভেঙে যায়। ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। সুমন স্ত্রী মনির বাম চোখে আঘাত করে এবং মোটর সাইকেলের সাইলেন্সারে চেপে ধরে মনির বুক জখম করেন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় স্বামী সুমন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে মারা যান মনি আক্তার। মৃত্যুর দুদিন পর ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর তার ভাই আব্বাস বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার কফিল উদ্দিন বলেন, মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মন্তব্য করুন