লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরমান হোসেন রাকিব ও সদস্য ফাহিম চৌধুরীর মধ্যে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে সোমবার দুপুরে ফাহিম ইউনিয়ন পরিষদে গেলে রাকিবের নেতৃত্বে একদল কর্মী তাকে মারধর করে।
এর প্রতিবাদে বিকেলে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং রাকিবের পদত্যাগের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে উভয় গ্রুপের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতারা, বিশেষ করে ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল খায়ের মুকসুদী ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবীসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
সংঘর্ষের সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অন্য নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- মো. শাহাদাত হোসেন (৪০), সাইফুল ইসলাম (৪৫), রাজু পাটোয়ারী (২৮), বিএনপি নেতা কবির হোসেন (৫০), মো. সাদ্দাম হোসেন (২১), সজীব (২৪), ইমন (২৪), বেলায়েত (৪২), তোফাজ্জল (৫২), মিরাজসহ (২৩) আরও কয়েকজন।
ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরমান হোসেন রাকিব কালবেলাকে বলেন, ইউনিয়নের ১, ২, ও ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। এটাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে ছাত্রদল সদস্য ফাহিম চৌধুরী বলেন, একতরফাভাবে আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে সভাপতি রাকিব আমাকে মারধর করে। এরপর তার নেতৃত্বে আরও একটি গ্রুপ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
রামগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল বাশার কালবেলাকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন