মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকা ইমা আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তারেক রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান সাইদুল ইসলাম পলাশ ইমার বাড়িতে যান। এ সময় তারা মেডিকেলে ভর্তির বইসহ পড়ালেখার খরচ বাবদ নগদ অর্থ সহায়তা করেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌর সদরের মুদি দোকানদার বেলাল হোসেনের মেয়ে ইমা আক্তার এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। মেয়ের এমন সাফল্যে পরিবার ও গ্রামের সবাই খুশি হলেও মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ চালিয়ে নিতে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ইমা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তিনি ইমার জন্য অর্থ সহায়তা পাঠান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভাঙ্গা উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি সাঈদ মুন্সী, পৌর বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বিটু, যুবদল নেতা পলাশ মুন্সী, গোলাম আযম, রেজা মুন্সী, জেলা ছাত্রদল নেতা হৃদয় মুন্সি, ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানজিদ ফেরদৌস নিশুসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম বলেন, ইমা মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থনৈতিক কারণে ভর্তি ও পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল। বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসলে তিনি ইমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। লন্ডনে বসে তিনি ইমার খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে তার পড়ালেখার সব খরচ আমাদের নেতা বহন করবেন বলে আমাদের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
ইমা বলেন, আমার ভাগ্য পরিবর্তনে প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান আল্লাহর দরবারে, এরপরে আমার বাবা-মা। তারপর আমার খবর নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ডাক্তার হয়ে আমি দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেব।
মন্তব্য করুন