আলেমদের পেটাতে চাওয়া শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও আ.লীগ নেতা আমির হোসেন সিকদার জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়েছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পালেরচর বাজার মাদ্রাসার মাঠে এক গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত আলেম এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে আমির সিকদার প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।
এর আগে পালেরচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমির হোসেন সিকদার একটি বাউল গানের স্টেজে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ‘যদি কেউ কোরআন থেকে স্পষ্টভাবে দেখাতে পারে যে গান-বাজনা হারাম, তাহলে আমি মেনে নেব। আর যদি না পারেন, তাহলে এসব আলেমদের উচিত ভালোভাবে পেটানো। এতে আমি যদি মার্ডার মামলার আসামি হই, যদি জেল খাটা লাগে আমি জেল খাটব। আওয়ামী লীগ কিন্তু ধ্বংস হয়ে যায়নি। হয়তো প্রেক্ষাপটের পতন হইছে কিন্তু আওয়ামী লীগ মরেনি।’
এ সময় তিনি বাউল গানে উপস্থিত জনতাকে বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির একটি কমিটি করব। কমিটি করার পরে পালেরচর ইউনিয়নে একটা বড় খেলা হবে। যতদিন বেঁচে থাকি। আমরা ইসলাম নবীর মাধ্যমে পাইনি, আমরা ইসলাম পেয়েছি অলি-আউলিয়াদের মাধ্যমে। যারা গান-বাজনা বন্ধ করতে আসবে তাদের ঠ্যাং (পা) ভাঙতে যা লাগে আমি তাই করমু। এতে যতদিন জেল খাটতে হয় খাটমু।’
এ বক্তব্যের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। আলেমরা এটিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে অভিহিত করেন। সাধারণ জনগণের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
গণসমাবেশে উপস্থিত হয়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আমি ভুল করেছি। আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি কারও অনুভূতিতে আঘাত দিতে চাইনি। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর করব না।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমদ আমির হোসেন সিকদারের ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কেউ ভুল করলে তার অনুশোচনা ও ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বাগত জানানো উচিত। তবে ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন উগ্র ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য না দেয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
মন্তব্য করুন