গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান বলেছেন, ক্যামেরা ও বাইনোকুলার দিয়ে মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বিদেশি খিত্তার পাশে স্থাপিত জিএমপির নিয়ন্ত্রণকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথম ধাপের ইজতেমা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হলো। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি আগের মতোই আছে।
তিনি বলেন, গতকাল মোনাজাতের সময় পাবলিকের ড্রোনের ধাক্কায় বেলুন ফেটে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তাই ড্রোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের দুই কিলোমিটারের মধ্যে অনুমতি ছাড়া কেউ ড্রোন উড়াতে পারবেন না।
প্রথম ধাপে সহযোগিতা করার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি দ্বিতীয় ধাপেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
এ সময় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারসহ উপকমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও আয়োজক কমিটির পক্ষে শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের সময় ড্রোন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে শতাধিক মুসল্লি আহত হয়। এ ঘটনার পর আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে ঘটনার ২৬ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ ড্রোন উদ্ধার করে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
শুরায়ি নেজামের অধীনে রোববার সকাল ৯টা ১১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। সোমবার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। ৮ দিন বিরতি দিয়ে আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা।
মন্তব্য করুন