বিয়ের দিন ধার্য করা থাকলেও আর বিয়ে করা হলো না নিখোঁজ ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মাহমুদল হাসান পিপাসের। বিয়ের অনুষ্ঠানের ঠিক দুদিন আগে নিখোঁজ পিপাসের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাটের সদর উপজেলার থারকি সতিঘাট গ্রামের একটি নির্জন বাগানের গাছ থেকে পিপাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন মাহমুদুল ইসলাম পিপাস। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দ্রীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করে সদর থানার এসআই মাসুদ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) পিপাসের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে চাকরির সুবাদে কাজে বের হন পিপাস। পরে সে বাড়ি না ফিরলে তার মোবাইল ফোনে পরিবার থেকে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো সন্ধান করতে পারেনি পরিবার। এ ঘটনায় নিহত পিয়াসের বড় ভাই জয়পুরহাট সদর থানায় পিপাসের নিখোঁজে সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে রোববার সদর উপজেলার বস্বু ইউনিয়নের ধারকিসূতিঘাট এলাকার একটি নির্জন বাগানে গাছের সঙ্গে পিয়াসের মৃতদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহত মাহমুদুল ইসলাম পিয়াসের বড় ভাই মেজবাহুর রহমান জানান, গত শুক্রবার তার ভাইয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। ২৯ ডিসেম্বর সে তার কাজের জন্য বের হয়ে যায়। কিন্তু সেদিন থেকে তার কোনো খোঁজ তারা পাননি। তিনি মনে করছেন, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত পিয়াসের কন্ধু শুভ হোসেন বলেন, গত শুক্রবার তার বন্ধুর বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বিয়ের ২ দিন আগে থেকে পিপাস নিখোঁজ ছিল। আজ মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি।
সদর থানার ওসি শাহেদ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মাহমুদুল ইসলাম নামে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে হত্যা, নাকি আত্মহত্যা।
মন্তব্য করুন