ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খাইরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বিএনপি সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের কৃষক দলের সাবেক সভাপতি করিম মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রাম্য দলাদলি চলে আসছিল। গত ২৫ জানুয়ারি ঘারুয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সমাবেশে কর্মী-সমর্থকরা যোগদান করতে গেলে বিএনপি নেতা আনোয়ার বিভিন্নভাবে বাধা প্রদানের চেষ্টা করেন। সেই জের ধরে করিম মোল্লার সমর্থক ও আনোয়ার সমর্থকদের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
পরে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেনের লোকজন করিম মোল্লার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তখন করিম মোল্লার লোকজন পাল্টা মামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় ৪টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় কৃষক দলের ওয়ার্ড সভাপতি করিম মোল্লা জানান, কৃষক দলের সমাবেশে যেতে বাধা প্রদান করে আনোয়ার। সে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান ও বর্তমান সভাপতি নয়ন খাঁর সঙ্গে দলবেঁধে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, করিম মোল্লা নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক নিরু খলিফার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকছেদুর রহমান জানান, খাইরদিয়া গ্রামে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে সংঘর্ষ হয়নি। মূলত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষ হয়ে কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন