বরগুনার তালতলীতে মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় আরাফাত খান নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরাফাত খান শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা গ্রামের আব্দুল জলিল খানের ছেলে।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার পচাকোড়িয়া ইউনিয়নের কলা রং গ্রামের শহীদ সিকাদার, তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিত সিকদার দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার শহীদ সিকদারের ছেলে সোহেল সিকদার ও আরাফাত সিকদার কচুপাত্রা বাজারে মাদক বিক্রি করতে যায়। এতে আরাফাত খান বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।
আরও জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে আরাফাত খান প্রতিবেশী হাবিব উল্লাহকে নিয়ে কচুপাত্রা পুরাতন বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শহীদ সিকদার, তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারসহ ১০-১২ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুজনকে। এ ঘটনা স্থানীয় অনেক মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আরাফাতকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরাফাত খানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরাফাতকে কলা রং গ্রামের শহীদ সিকদার ও তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা রায়েজিদ সিকদারসহ ১০/১২ জনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
আহত হাবিব উল্লাহর বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, কলা রং গ্রামের শহীদ সিকদার, তার দুই ছেলে ও ভাতিজা মিলে আরাফাত সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আরাফাতের মোটরসাইকেলে আমার ছেলে হাবিব উল্লাহ ছিল। তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
নিহত আরাফাত খান বাবা আব্দুল জলিল খান বলেন, মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে শহীদ সিকদার ও তার ছেলেরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক খান বলেন, আরাফাত খান আমার ভাতিজা। তাকে শহীদ সিকদার ও তার ছেলেরা পূর্বশত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আরাফাত খানকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। অপর আহতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি মো. শাহ জালাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে। নিহতের মরদেহ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন