হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস। যার ফলে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। মাঘের শীতে জবুথবু এ অঞ্চলের জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে অস্বাভাবিক ভাবে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় একই তেঁতুলিয়ায় ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা গতকাল সকাল ৯টায় ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েকদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। মধ্য বেলায় কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এ কারণে দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ।
শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকার সুজন আলী বলেন, ‘এখন প্রায় ৯টা বাজে তাও সূর্যের দেখা নেই। ঠান্ডায় হাত মনে হচ্ছে অবশ হয়ে থাকছে। হ্যান্ডেল ঠিকমতো ধরে রাখা যায় না।
আরেক ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, কনকনে হাড় কাঁপানো শীতের কারণে লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তাই ভাড়া হচ্ছে কম। আবহাওয়া এ রকম থাকলে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তরপশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। তবে গতকালকের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন