টঙ্গীর তুরাগতীরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ময়দানের চারপাশের বাসাবাড়ি, বারান্দা, টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, স্টেশন রোড এলাকাসহ বিভিন্ন কারখানার খালি জায়গায় হাজার হাজার নারী বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শামিল হওয়ার জন্য অবস্থান নিয়েছেন।
এদিন সকাল ৯টায় মোনাজাত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সকাল বেলা থেকেই রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে হাজারো নারী-পুরুষ হেঁটে ইজতেমার ময়দানের দিকে আসতে থাকে। ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আশপাশের সড়ক, মাঠ ও বিভিন্ন স্থানে ভিড় জমিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ইজতেমায় আসা কয়েকজন নারী জানান, নারীদের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে নিজ উদ্যোগে পর্দা টানিয়ে বসার ব্যবস্থা করেছেন তারা।
বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসা প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাশকিল কামরার পাশে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রায় ২০০ জন প্রতিবন্ধী মুসল্লি অবস্থান নিয়েছেন।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানান, শনিবার রাত ১২টা থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ইজতেমা সংশ্লিষ্ট যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
শনিবার বাদ আসর ইজতেমা ময়দানে ৬৩টি যুগলের যৌতুকবিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মোহরে ফাতেমি অনুসারে বিয়েগুলো পড়ান ভারতের মাওলানা যোহাইরুল হাসান।
এবারের বিশ্ব ইজতেমায় ৭২টি দেশ থেকে ২ হাজার ১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন। এর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কুয়েত, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন।
আজ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শুরায়ে নেজামের দুই ধাপের ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় পর্ব। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা।
মন্তব্য করুন