সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসে ফুলজোর নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় তিন স্কুলশিক্ষার্থী। নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর রাফিন ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার ঝাঁটিবেলাই গ্রামের ফুলজোর নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্ররা হলো– সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা কৃষ্ণ কুমার (১৫) ও সারজিল হোসেন (১৫)। মরদেহ উদ্ধার হওয়া রাফিন ঝাঁটিবেলাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তারা সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, ঝাঁটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক রঞ্জুর নাতি জারিফের পাঁচ বন্ধু তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে তারা ছয়জন দুপুরে ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামলে একপর্যায়ে তিনজন নদীতে ডুবে যায় এবং অপর তিনজন সাঁতরে উঠে আসে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নদী সাঁতরে বেঁচে ফেরা শিফাত বলেন, আমরা যখন সবাই গোসল করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে তিন চারজন সাঁতরে মাঝখানের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেখানে নদী অনেক গভীর ছিল, নিচের দিকে স্রোতও ছিল। আমি সবাইকে ভেতরের দিকে যেতে নিষেধ করছিলাম। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। একপর্যায়ে পাঁচজনই তলিয়ে যাচ্ছিল, আমি খুব কষ্ট করে দুজনকে টেনে পারে তুলে নিয়ে এসেছি।
কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে নদীর পানির গভীরতা ২০ থেকে ২৫ ফুট হওয়ায় নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাফি নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরপরই রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
কামারখন্দ থানার ওসি মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস টিমের সদস্যরা রয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন