রংপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার, শিক্ষার্থীকে রাখা হলো হাজতে

থানায় নিয়ে আসা শিক্ষার্থী এবং হাজাতের সামনে অপেক্ষমাণ তার স্ত্রী। ছবি : কালবেলা
থানায় নিয়ে আসা শিক্ষার্থী এবং হাজাতের সামনে অপেক্ষমাণ তার স্ত্রী। ছবি : কালবেলা

রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের নামে কোচিং সেন্টার খোলার অভিযোগে হাসান আলী নামে এক কলেজছাত্রকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে মহানগর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একদল নেতাকর্মী। পরে পুলিশ তাকে মহানগর কোতোয়ালি থানাহাজতে আটকে রাখে।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় হাসানের বাসায় যান নেতাকর্মীরা। এ সময় তার সঙ্গে নেতাকর্মীদের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

এর আগে একটি ভিডিওতে রফিক আহমেদ রাজ নামের একজন ইংরেজি শিক্ষক শহীদ আবু সাঈদ কোচিং সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। কলেজছাত্র হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই কোচিং সেন্টারের ফেসবুক পেজটি খুলে দিয়েছেন।

রাতে মহানগর কোতোয়ালি থানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে বসে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েক নেতাকর্মী। আর হাসানকে হাজতে রাখা হয়েছে। হাজতের বাইরে তার স্ত্রী ও বাড়ির মালিক অপেক্ষা করছেন। তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

আটক কলেজছাত্রের স্ত্রী শারমিন খাতুন কালবেলাকে বলেন, শিক্ষক রফিকের কাছে ইংরেজিতে কথা বলা শিখতেন তার স্বামী। তিনি একটি কোচিং সেন্টার খুলতে চেয়েছিলেন। ওই কোচিং সেন্টারে নামে তার স্বামীর কাছ থেকে একটি ফেসবুক পেজ খুলে নিয়েছেন।

শারমিনের দাবি, তার স্বামীকে জোর করে থানায় নিয়ে এসে হাজতে রাখা হয়েছে। তার কোনো দোষ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, শহীদ আবু সাঈদের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করলে আমরা তার বিরোধী। ওখানে কিছু একটা ‘মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং’ হয়েছে। সেটি আমার কাছে বেশি বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি।

অভিযোগ ছাড়া ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে এসে হাজতে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান কালবেলাকে বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে হাজতে রাখা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে তাকে নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে ছাত্ররা অভিযোগ তুলেছে।

এ ঘটনাকে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন বলছেন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা। রংপুর আদালতের আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারে না। এই ধরনের গ্রেপ্তার আইন ও পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কবরস্থানে পাওয়া বস্তায় মিলল অস্ত্রসহ চাইনিজ কুড়াল

গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলার সবশেষ পরিস্থিতি

টিভিতে আজকের খেলা

সারা দেশে ব্যাপক বজ্রপাতের শঙ্কা

২১ এপ্রিল : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২১ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

রাজশাহীতে দুই ছিনতাইকারী জনতার হাতে ধরা

ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে গণমিছিল

নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

১০

স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট গৃহকর্মী, অতঃপর...

১১

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফেরিওয়ালা নিহত

১২

দ্রুতগতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ

১৩

জামায়াতে যোগ দেওয়া সেই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল বিএনপি

১৪

‘সংস্কার ও বিচারের পর নির্বাচন চায় জামায়াত’

১৫

চেক প্রতারণার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

১৬

টঙ্গীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১৭

যশোরে ২৮ মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণ

১৮

২০ লিটার দুধ দিয়ে যুবকের গোসল, নেপথ্যে কী?

১৯

পারভেজ হত্যার ঘটনায় ঘৃণ্য রাজনৈতিক অপপ্রচার চালাচ্ছে ছাত্রদল : উমামা ফাতেমা

২০
X