মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী ও নাটোর জেলার তিন মেধাবী শিক্ষার্থীকে উপহার হিসেবে বই, কঙ্কাল, আর্থিক ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ উপহার দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী প্রার্থনা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে মেডিকেলে পড়াশোনার ১ সেট বই, ১ সেট কঙ্কাল, অ্যাপ্রোন ও প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এরপর দুপুরে রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের (বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ) মেধাবী শিক্ষার্থী মো. নীরব আলীর বাড়িতে গিয়ে মেডিকেলে পড়ার জন্য বই, বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণসহ নগদ অর্থ উপহার দেন। সন্ধ্যায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় রংপুর মেডিকেলে উত্তীর্ণ বৈশাখীর বাড়িতে গিয়ে বই, কঙ্কাল, অ্যাপ্রোনসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
এ সময় ডা. রফিক বলেন, বিভিন্ন মেডিকেলসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নো পলিটিক্সের নামে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের একটা পাঁয়তারা চলছে। জেন-জি জেনারেশনকে ছাত্র রাজনীতি বিমুখ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা পূর্ব পরিকল্পনামাফিক একটি গোষ্ঠী এগুলো করছে। অথচ এ জেন-জিরাই বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মুখ্য চালিকাশক্তি ছিল।
তিনি বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচার পতন, কিংবা ২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে ছাত্র রাজনীতির অংশগ্রহণ গড়ে দিয়েছে নতুন অধ্যায়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির নামে যে সন্ত্রাস ছাত্রলীগ কায়েম করেছে তার জুজু দেখিয়ে গৌরবময় ছাত্র রাজনীতিকে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার এ ঘৃণ্য প্রয়াস প্রকারান্তরে একটি গুপ্ত সংগঠনকে মৌলবাদী রাজনীতি করার ফ্রি পাস দেওয়ার শামিল।
তিনি আরও বলেন, মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা যেমন সমাধান না, তেমনি অতীত সরকারের আমলে ছাত্র রাজনীতির কালো অধ্যায়ের সমাধান ছাত্র রাজনীতিবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। বরং অতীত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনমূলক শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আজকে অনেকটা স্পষ্টত প্রতীয়মান যে, কিছু সংখ্যক ছাত্র একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্ত রাজনীতি একটি সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা দিতে পারে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে কোনো গুপ্ত সংগঠন তাদের কর্মকাণ্ড যদি চলমান রাখে তা মৌলবাদকে উসকে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকেই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলবে।
মন্তব্য করুন