বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় গুলিতে নিহত চারজনের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও একজনের পরিচয় শনাক্তের জন্য এসব লাশ উত্তোলন করা হয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের নির্দেশে আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার সাদিয়া আক্তারের নেতৃত্বে ময়নাতদন্তের জন্য দক্ষিণ পাইপাইল, পাবনার টেক উত্তরপাড়া ও বগাবাড়ি আমতলা এলাকার ৩টি কবরস্থান থেকে চারজনের লাশ উত্তোলন করা হয়।
তারা হলেন- জাহিদুল ইসলাম সাগর, আশরাফুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। এরমধ্যে আবুল হোসেনের লাশ শনাক্তের জন্য আমতলা এলাকার কবরস্থান থেকে দুটি লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন উপস্থিত নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রশাসন বলছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও একজনের পরিচয় শনাক্তের জন্য আদালতের নির্দেশে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর খবরে পুরো দেশে বিজয় মিছিল হলেও উলটো চিত্র ছিল সাভার-আশুলিয়ায়। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে সেদিন মৃত্যুকূপে পরিণত হয় আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা। ওইদিন মারা যাওয়া সবাইকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয় আশপাশের কবরস্থানে।
আশুলিয়া থানার ওসি মো. নূর আলম সিদ্দিক কালবেলাকে জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়াতে গুলিতে নিহতদের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের স্বজন থানায় ও আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও নিহতের পরিচয় শনাক্তে আদালতের নির্দেশে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
লাশ উত্তোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার কালবেলাকে জানান, আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন