চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মো. সেলিম হোসেন (৪৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের গৌড়েশর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সেলিম ওই গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. আবুল কালাম কালুর ছেলে। একই গ্রামের কাজী বাড়ির আকবর হোসেন কাজীসহ তাদের পরিবারের লোকজন বিরুদ্ধে সেলিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানের চারা রোপণের সময় কবিরাজ বাড়ির জাহাঙ্গীরের সঙ্গে একই গ্রামের কাজী বাড়ির আজিজ কাজীর সঙ্গে বিবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় আজিজের বড় ভাই চাঁন মিয়ার সঙ্গে জাহাঙ্গীরের ভাতিজার (সেলিমের ছেলে) সঙ্গে মারামারি হয়। বিষয়টি জানার পর ইউপি সদস্য সমাধানের উদ্যোগ নেন। এরপর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর স্থানীয় মসজিদ মাঠে জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই সেলিমকে পিটিয়ে আহত করেন আজিজের চাচা আকবরসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য লোকজন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেলিমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে সেলিম হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্ত আকবর কাজীসহ তাদের পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা লাপাত্তা। এ সময় ঘটনাস্থল ও কাজী বাড়িতে অভিযুক্তসহ তাদের পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নিহত সেলিমের ছোট ভাই ও ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নবীর জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ভাই সেলিমকে পরিকল্পিতভাবে আকবার কাজী ও আজিজ কাজীসহ তাদের পরিবারের সকল সদস্য ও ভাড়া করা লোকজনকে নিয়ে অতর্কিত হামলার পর পিটিয়ে হত্যা করে। অথচ ওই তুচ্ছ ঘটনার সঙ্গে তার ভাই সেলিম জড়িত ছিলেন না বলে তিনি জানান।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবার, বাড়ির লোকজন, স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসেন।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সেলিম হোসেনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করার পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন