হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড় জেলায়। বিশেষ করে উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা থাকায় কাবু হয়ে পড়ছে উত্তরের এই জনপদের মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয় হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। দিনভর উত্তরের হিমেল বাতাস থাকায় ছড়াতে পারেনি সূর্যের তীব্রতা। এতে কমে যায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান।
ঘনকুশায়ায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে খেটে খাওয়া মানুষের। সকালে ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণে স্থবিরতা দেখা দেয় জনজীবনে।
এদিকে, হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও শীতে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। যা গতকাল ৯ টায় দশমিক ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন