জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ১৫ আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সাতপোয়া ইউনিয়নের চর চুনিয়াপটল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মো. বাবলু মিয়া (৫৫), আব্দুর রশিদ (৫৬), আব্দুল জলিল (৬৫), মো. জহুরুল ইসলাম (২৪) মো. টুকন মিয়া (৩২), মো. আফজাল হোসেন (৫০), মো. আয়নাল হক (৬০), মো. ফজর আলী (৪০), মো. সুলতান মাহমুদ (৪৫), মো. রুবেল মিয়া (২৪), মো. রূপচাঁন মিয়া (৩৫), মোছা. পিপাসা বেগম (২৬), মোছা. ছাহেরা বেগম (৫০) ও মোছা. স্বপ্না বেগম (৩৬)।
তাদের মধ্যে বাবলু মিয়া ও আব্দুর রশিদ গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং ৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়াও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চুনিয়াপটল গ্রামের নিমাই মন্ডলের ছেলে আমজাদ হোসেন ও একই গ্রামের কদ্দুস মন্ডলের ছেলে আব্দুল জলিল মন্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে আব্দুল জলিল চাষাবাদের প্রস্তুতি নিলে প্রতিপক্ষ আমজাদ হোসেন বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায় জলিলের সমর্থকের লোকজন ও আমজাদ হোসেনের সমর্থকের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে লাঠিসোটার আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহত আব্দুল জলিল বলেন, বাব-দাদার ওয়ারিসের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। জমিতে ধান লাগাতে গেলে আমজাদের লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার পরিবারের লোকজনকে আহত করেছে।
আহত, আমজাদ হোসেন, জমি তাদের দাবি করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। বৃহস্পতিবার জোর করে আব্দুল জলিল দখল করতে গেলে সংবাদ পেয়ে তাকে আমরা বাধা দেই।
সরিষাবাড়ী থানার এসআই বদরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে কোনো পক্ষকে পাওয়া যাইনি। তবে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন