হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর তাকে মহানগর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিস গলি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে তার ভাগ্নের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শিবলী কায়সার কালবেলাকে বলেন, নগরীর পোস্ট অফিস গলি এলাকার তার ভাগ্নের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। এবং তদন্তের প্রয়োজন হলে রিমান্ড চাওয়া হবে।
এর আগে একই মামলায় গত ২৮ অক্টোবর তার ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মাহামুদুল হাসান মুন্না তার বাবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে কাউনিয়া উপজেলার বরুয়াহাট এলাকার বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রংপুর শহরের মিনি সুপার মার্কেটের পাশে ভাঙ্গা মসজিদের সামনে পৌঁছালে মুন্নাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী মনে করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন মুন্না। এসময় অজ্ঞাতনামা দোকানদাররা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে গত ২৯ আগস্ট দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন মুন্নার বাবা আবদুল মজিদ।
এ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার ছেলে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিবুজ্জামান আহমেদ, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, লালমনিরহাট জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান, সাবেক এমপি অ্যাড. সফুরা খাতুন ও রংপুর মহানগর আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।
মন্তব্য করুন