চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এস আলমের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তার মামলা

সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। ছবি : সংগৃহীত
সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। ছবি : সংগৃহীত

একশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলমকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নারী উদ্যোক্তা নাজমে নওরোজ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেছিলেন তিনি।

নাজমে নওরোজের মামলার আবেদন গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভঙ্কর ঘোষ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলায় সাইফুল আলম মাসুদ ছাড়াও তার শ্বশুর আলী জহুর, শ্যালিকা জেসমিন আরশেদ, ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক প্রবর্তক মোড় শাখার সাবেক সহসভাপতি মো. জাকারিয়াকে আসামি করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট শুভঙ্কর ঘোষ জানান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সাইফুল আলম মাসুদসহ ৬ আসামি ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা ফেরত চাইলে তাকে অপহরণ করে খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। ২০১৩ সাল থেকে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তিনি পরিচালনা করেন। সে সুবাদে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের শ্বশুর আলী জহুর ও তার মেয়ে জেসমিন আরশেদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ও পারিবারিক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মাধ্যমে সাইফুল আলম মাসুদের সঙ্গে নওরোজের পরিচয় হয়।

সাইফুল ইসলামের মাসুদের নির্দেশে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৪৫ শতাংশ শেয়ার জেসমিন আরশেদকে ও ৪০ শতাংশ শেয়ার তার বাবা আলী জহুরকে দিয়ে নিজে ১৫ শতাংশ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন।

পরে সাইফুল ইসলাম মাসুদের নির্দেশে নওরোজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধক রেখে আলী জহুর ও তার মেয়ে জেসমিন আরশেদ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, প্রবর্তক মোড় শাখা থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নেন, যার মধ্যে মাত্র ১৫ কোটি টাকা নওরোজকে দেওয়া হয়। বাকি টাকা তারা আত্মসাৎ করেন।

বিভিন্ন সময়ে ওই শাখা থেকে প্রতিষ্ঠানকে বন্ধক রেখে প্রায়ই ১০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে হাতিয়ে নেন তারা। নওরোজের চেকে স্বাক্ষর নকল করে ব্যাংক থেকে ওই টাকাগুলো নেওয়া হয়েছিল।

২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব ঋণের টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ২০২৪ সালের ১৫ মে তিনি তার নামে ব্যাংক থেকে তোলা ১০০ কোটি টাকা চাইতে গেলে সাইফুল আলম মাসুদ গালাগাল করেন। ভবিষ্যতে টাকা চাইতে গেলে মামলার অন্য আসামিরা তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকিও দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে কারখানা বানাতে চায় তুরস্কের প্রতিষ্ঠান

সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা

আইসিডিডিআরবিতে হাজারেরও বেশি চাকরিচ্যুতির চিঠি

সামরিক প্রধান নিহত, নিশ্চিত করল ফিলিস্তিন

ময়লার ভাগাড়ে কান্না করছিল নবজাতক, অতঃপর...

নির্বিঘ্নে সভা—সমাবেশ করার অধিকার চায় সনাতনী জাগরণ জোট

‘তোরা সমন্বয়ক’ বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা

নরসিংদীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

চাপের মুখে হাতকড়া পরলেন সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

১০

রাজবাড়ী জেলা বারের সভাপতি বাচ্চু, সম্পাদক রাজ্জাক

১১

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে মিয়ানমারের ভিডিও প্রচার

১২

মেঘনা নদীতে দুগ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ২

১৩

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন

১৪

বনের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে আহত ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

১৫

ভারতে পাচার ১৬ কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোলে হস্তান্তর

১৬

গাউসুল আজম মার্কেটে অস্থিরতার চেষ্টা, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের

১৭

বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানাল র‍্যাব

১৮

অসম্মান-মানসিক চাপে বিদ্রোহের সুর, কাঁদলেন নারী ফুটবলাররা

১৯

আন্দোলনের মুখে পঞ্চগড়ের চার বিচারকের বদলি

২০
X