শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩২
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

থানা ঘেরাও, ছাড়া পেলেন কৃষকদল নেতা

রাজশাহীতে শাহমখদুম থানার ভেতরে অবস্থান নেয় কৃষকদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী। ছবি : কালবেলা
রাজশাহীতে শাহমখদুম থানার ভেতরে অবস্থান নেয় কৃষকদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী। ছবি : কালবেলা

রাজশাহীর পবার যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ এবং গুলিতে তার বাবা মো. আলাউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এক কৃষকদল নেতার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ জন্য ওই কৃষকদল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল।

খবর পেয়ে কৃষকদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী রাজশাহী নগরের শাহমখদুম থানা ঘেরাও করেন। কয়েকজন থানার ওসির কক্ষে গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। তারা ওই কৃষকদল নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শাহমখদুম থানার পুলিশ আশরাফুলকে আটক করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সমর্থকেরা থানা ঘেরাও করেন। ছুটে যান রাজশাহী মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শামীমও। পরে গভীর রাতে কৃষকদল নেতাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।

কৃষকদলের ওই নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, থানায় আমাকে সন্দেহমূলকভাবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অথচ আমি কিছুই জানি না। যেহেতু আমি মহানগরের সেক্রেটারি, তাই কর্মী-সমর্থকরা থানায় গিয়েছিল। আমি সবাইকে বলে দিয়েছিলাম, কেউ পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না। কেউ খারাপ ব্যবহার করেওনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে রাজশাহীর শাহমখদুম থানার ভুগরইল মহল্লায় স্থানীয় যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় দরজা ভেদ করে ঢুকে যাওয়া একটি গুলিতে আহত হন তার বাবা মো. আলাউদ্দিন। ১৫ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণের আগে দুটি পক্ষ একটি বিরোধ মীমাংসায় এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। একটি পক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন মিন্টু। ওই মীমাংসা বৈঠক থেকে বাড়ি যাওয়ার পর তার বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। যারা গুলিবর্ষণ করেন, তারাও ওই মীমাংসা বৈঠকে ছিলেন।

পুলিশ তথ্য পেয়েছে, ওই রাতে মিন্টুর বাড়িতে যারা গুলি করেছিলেন, তাদের দু-একজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে কৃষকদল নেতা আশরাফুলের। এ সংক্রান্ত কললিস্টও পাওয়া গেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল।

শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোস্তারিন বলেন, আমরা কললিস্ট দেখে আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। তিনি বলেছেন, তিনি নেতা মানুষ। বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গেই তার কথা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তর তদন্ত চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সামরিক প্রধান নিহত, নিশ্চিত করল ফিলিস্তিন

ময়লার ভাগাড়ে কান্না করছিল নবজাতক, অতঃপর...

নির্বিঘ্নে সভা—সমাবেশ করার অধিকার চায় সনাতনী জাগরণ জোট

‘তোরা সমন্বয়ক’ বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা

নরসিংদীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

চাপের মুখে হাতকড়া পরলেন সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

রাজবাড়ী জেলা বারের সভাপতি বাচ্চু, সম্পাদক রাজ্জাক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে মিয়ানমারের ভিডিও প্রচার

মেঘনা নদীতে দুগ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ২

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন

১০

বনের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে আহত ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

১১

ভারতে পাচার ১৬ কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোলে হস্তান্তর

১২

গাউসুল আজম মার্কেটে অস্থিরতার চেষ্টা, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের

১৩

বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানাল র‍্যাব

১৪

অসম্মান-মানসিক চাপে বিদ্রোহের সুর, কাঁদলেন নারী ফুটবলাররা

১৫

আন্দোলনের মুখে পঞ্চগড়ের চার বিচারকের বদলি

১৬

ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করতে কমিটি

১৭

জায়গার মালিকানা নিয়ে হামলা, নারীসহ আহত ৫

১৮

জমি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

১৯

কবরস্থানের সীমানা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

২০
X