রাজশাহীর পবার যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ এবং গুলিতে তার বাবা মো. আলাউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এক কৃষকদল নেতার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ জন্য ওই কৃষকদল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
খবর পেয়ে কৃষকদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী রাজশাহী নগরের শাহমখদুম থানা ঘেরাও করেন। কয়েকজন থানার ওসির কক্ষে গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। তারা ওই কৃষকদল নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শাহমখদুম থানার পুলিশ আশরাফুলকে আটক করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সমর্থকেরা থানা ঘেরাও করেন। ছুটে যান রাজশাহী মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান শামীমও। পরে গভীর রাতে কৃষকদল নেতাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
কৃষকদলের ওই নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, থানায় আমাকে সন্দেহমূলকভাবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অথচ আমি কিছুই জানি না। যেহেতু আমি মহানগরের সেক্রেটারি, তাই কর্মী-সমর্থকরা থানায় গিয়েছিল। আমি সবাইকে বলে দিয়েছিলাম, কেউ পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না। কেউ খারাপ ব্যবহার করেওনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে রাজশাহীর শাহমখদুম থানার ভুগরইল মহল্লায় স্থানীয় যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় দরজা ভেদ করে ঢুকে যাওয়া একটি গুলিতে আহত হন তার বাবা মো. আলাউদ্দিন। ১৫ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণের আগে দুটি পক্ষ একটি বিরোধ মীমাংসায় এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। একটি পক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন মিন্টু। ওই মীমাংসা বৈঠক থেকে বাড়ি যাওয়ার পর তার বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। যারা গুলিবর্ষণ করেন, তারাও ওই মীমাংসা বৈঠকে ছিলেন।
পুলিশ তথ্য পেয়েছে, ওই রাতে মিন্টুর বাড়িতে যারা গুলি করেছিলেন, তাদের দু-একজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে কৃষকদল নেতা আশরাফুলের। এ সংক্রান্ত কললিস্টও পাওয়া গেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোস্তারিন বলেন, আমরা কললিস্ট দেখে আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। তিনি বলেছেন, তিনি নেতা মানুষ। বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গেই তার কথা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তর তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন